পথ হারিয়ে কোথায় যাব আমি জানি না, শুধু জানি আমার অপেক্ষায় তুমি আছ। গোধূলি লগ্নে আবছা লাগে তোমার ছবি, হারিয়ে যায় বৃষ্টির ফোঁটার মত, আর কতো দিন লুকিয়ে থাকবে রামধনু; এক দিন তো আকাশ চিঁরে বের হতে হবে। তেমনি খুঁজতে খুঁজতে হয়তো তোমার দেখা পেয়ে যাবো স্বপ্নের মধ্যে। সে দিন হয়তো বাস্তবের সাথে মিল থাকবে না,তুমি অন্য কারো হাত ধরে এগিয়ে চলেছো তোমার নতুন ভবিষ্যতের কাছে.............................................. একবার তো বলতে পারতে"আমি যে তোমায় ভালোবাসি না"।
Friday, January 25, 2013
আজও তোমায় ভালবাসি...........................
অনেক দিন হল তোমায় দেখিনা , মোবাইলে চার্জ হওয়ার মত আমি নিজেকে চার্জ করতে
পারি না । তুমি ভাবছ আমি পাগলের মত ভুল ভাল কি বকছি ? হ্যাঁ আমি পাগল , তোমার জন্য
পাগল , সারা জীবন পাগল । আজকের দিনটা কি তোমার মনে পড়ে ? এই দিনটিতে আমি তোমায়
বছরের প্রথম গ্রিটিংস কার্ড দিয়েছিলাম । হয়ত তুমি ভুলে গেছ , কিন্ত আজও আমার মনে
পড়ে সেই দিনের কথা ।
তুমি ভাবছ এত কিছুর পরেও আমি কি করে এই কাজের পুনরাবৃত্তির সাহস পাই ? দেখ
আমি অনেক ভেবেছি , কিন্ত তোমায় ভুলতে পারি না । ভাবি অন্য কারো সাথে সময় কাটিয়ে
তোমায় ভুলে যাব , কিন্ত অনেক চেষ্টা করেও আমি ভুলতে পারি না সেই দিন গুলি , প্রতি
মুহুর্ত মনে হয় তুমি আমার হৃদয় জুড়ে আছ । থাক না আজ সেই পুরনো কথা ।
তোমার ভয়েস রেকর্ডিং আজও ঘোমানোর সময় শুনি । সারাদিন সময় না থাকার জন্য
রাতের অর্ধেক সময় তোমাকে নিয়ে ভাবি । জানি ভালবাসা মানে শুধু পাওয়া নয় , সে যাতে
সুখি থাকে সেটাই ভালবাসা । হয়ত এই কথাগুলি তোমার বাড়ীর লোক শুনে বলবে “ এ মা এর
দেখি লজ্জা নেই ’’ ।
তা যাই হোক , মাসি , গুদু , ১০ গ্রাম , ৫ গ্রাম এরা সবাই কেমন আছে ? আমি তো
অবাক হয়ে গেছিলাম , যে দিন ১০ গ্রাম এর মুখে প্রথম মা ডাক শুনি । সত্যি ভাবতে অবাক লাগে , কি করে তিনটা বছর কেটে গেল ?
আমি আর ভাবি না কাকে নিয়ে সংসার করব ? কার সাথে আমার বিয়ে হবে ? কিন্ত আমি
মন থেকে কামনা করি যার সাথে তুমি যাবে তার সাথে অবশ্যই সুখে থাকবে । ভেবেছিলাম
অনেক কিছু , তোমায় পাই নি তো তোমাকে কারও হতে দেবনা । আজ আমি ভাবছি , এই রাস্তায়
আমি প্রথম নই , অনেকে এই রাস্তা পার হয়েছে ।
আমার এই লেখা দেখে এক প্রফেসার বলেছিলেন “ তোমায় এই ভাষা পুঁথিগত ভাবে
সজ্জিত রাখ , একদিন এর আকাশ ছোঁয়া মুল্য পাবে ” । আমি জানি আমার ভাষা কোথা থেকে
এসেছে , একমাত্র যে আঘাত পায় সেই পারে এরকম ভাষা খুঁজতে ।
এই কয়দিনে আমি অনেক কিছু শিখেছি , শিখেছি ভালবাসা শুধু বন্দী থাকে না একে
উজাগর করে দিলে , মনের মাঝে আসে এক অসামান্য তৃপ্তি ।
আমি কিন্ত তোমার ছবি আঁকা একটি টিসার্ট পরি । আমার ফেবারিট । তোমার আপডেট
খবর অনেকদিন পাই না । জানতে খুব ইচ্ছা করে , তুমি কেমন আছ ? তোমার পরিবারের লোক
কেমন আছে ? সেই ৫ , ১০ , ৫০ , ১০০ গ্রাম
সবাই কেমন আছে ? কেমন আছে তোমার ঠাম্মা , দাদু ? এইতো কদিন আগে রেশন তুলতে গিয়ে
দেখি তোমার ঠাম্মা ।
ভাল লাগে তোমাদের গ্রাম , ভাল লাগে তোমার
স্কুল , ভাল লাগে তোমাদের হাট । কিন্ত ভাল লাগাটাই অবাস্তব ।
ফিলিংস কাকে বলে ?
দূর্গা পূজার দশমির দিন , আমি আর
আমার দুই বন্ধু মিলে গাজল যাচ্ছিলাম । আমি খুব একটা ভাল বাইক চালাই না , তাই আমার
বন্ধুকে দিলাম । সবাই আনন্দ করতে করতে যাচ্ছি । ফাঁকা রাস্তা , জনমানব শূন্য ,
ইটাহার পার হয়ে , পতিরাম । আবার পতিরাম পার হয়ে হরিরামপুর , এটা একটা মুসলিম এলাকা
যার মধ্য দিয়ে ২২ বছর বয়সী তিন যুবক যাচ্ছে । স্পীড ৫৫ কি ৬০ কিমি প্রতি ঘন্টা ।
আমার হাতে হেলমেট রয়েছে , আমি ভাবি হাতে না রেখে মাথায় পরা উচিত । হেলমেট পরার ২ মিনিট পরে ঘটে বীভৎস ঘটনা ।
আমরা ২১ মাইলের কাছাকাছি একটি মোড়ে ৪৫ ডিগ্রী কোণে , গাড়ীর স্পীড ৭০ কিমি ।
আমি চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি , সামনে একটা টার্নিং । দেখতে দেখতেই আমার মাথায় কি
যেন একটা আঘাত লাগল । মনে হল কে যেন আমার মাথায় প্রচণ্ড জোরে লোহার রড দিয়ে আঘাত
করেছে । আমার বাইক দূরে
পড়ে আছে , সবাই ছিটকে আছে । আমি যেন দেখতে পাচ্ছি তুমি সর্ষা
খেতের মধ্যে থেকে ডাকছ , “ কি গো বাড়ী যাবে না ” । মাথায় হেলমেট পরাছিল তবুও মাথা
ফেটে গেছিল , আমি ১০ মিনিট চোখে দেখতে পাচ্ছিলাম না । শুধু এটুকু বুঝতে পারছি কে
যেন কাঁদছে ?
হয়ত আজও বেঁচে গেলাম তোমার বিরহে কাঁদব বলে ।
আমি ভালই বুঝলাম যে হয়ত তোমার প্রতি আমার
নিষ্পাপ ভালবাসার জন্য । তুমি ভাবছ আমি হয়ত কোন বানান গল্প বলছি , কিন্ত না ,
তোমার যদি বিশ্বাস না হয় তবে হরিরাম পুরের ডিলার আঙ্গুর এর কাছে শুনে দেখতে পার ।
এখনও তোমার জন্মদিন আমি পালন করি , ভাবি আমার জন্য নয় হয়ত অন্য কারও জন্য আমার
পড়াশোনা শেষ হলে গল্প লেখব , আমি তোমায় বলেছিলাম না যে ‘ আমার হাতে আর সময় থাকবে
না ’ , সত্যি আমার হাতে সময় খুব কম । আমায় অনেক কাজ করতে হবে , এখন আমি তোমার দেখা
পেতে চাই , কিন্ত তারও সময় নেই । সে যাই হোক আমার প্রকাশিত প্রথম বই অবশ্যই তোমায়
দেব ।
আমার ল্যাপটপের পাসয়ার্ড তোমার নামে , মোবাইলের
ওয়ালপেপারে তোমার ছবি , আমার ঘরের সর্বত্র তোমার ছবি । শুধু ভাবি তোমায় , গান শুনে
মনে পড়ে পুরানো কথা । আমি কোনও দিন ঠাকুর বা ভগবান বলে কিছু বিশ্বাস করতাম না ,
কিন্ত আজও বোল্লা তে তোমার নামে প্রতিবার পূজা দিয়ে আসি । হয়ত তোমার জন্যই এই
পরিবর্তন হয়েছে আমার । আমার সমস্ত বন্ধুদের আমাদের গল্প শুনাই , ওরা তোমায় দেখতে
চায় । দেখতে চায় সেই মেয়েকে । যার মুখের হাসিতে আমার সকালের ঘুম ভাঙ্গে , যার
তাকানোতে আমার সারাদিন চলে । সবই আমার ভাবনা ছাড়া আর কিছু নয় ।
তুমি জানো আমার পক্ষে তোমার নাম্বার জোগাড় করা কোন
ব্যাপার নয় , কিন্ত আর ভাল লাগে না আর সে রকম করার । তাই আর ওসব চিন্তা করি না ,
শুধু ভাবি তুমি কি করে ভাল থাকবে ?
হয়ত
তোমার পরিবারের লোক ভাবতেই পারে আর ছেড়ে কথা বলা যাবে না , তাই নিজের নাম প্রকাশ
করলাম না । আমি জানি তুমি বুঝবে কে লেখেছে ? প্লীজ কোন কিছু কোরও না ।
তোমার ফোনের মিসড কল আসবে বলে আজও নাম্বার চেঞ্জ করিনি ।
ভাল থেক , শুখে থেক ।
আজও আছি তোমার
অপেক্ষায় ।
Subscribe to:
Posts (Atom)